
কেশবপুর(যশোর) প্রতিনিধি :
কেশবপুর উপজেলার ঈমাননগর গ্রামে হোসেন আলী (৫০) এর বসতবাড়ির দখলীয় জমি জোরপূর্বক দখল নিতে স্বামী-স্ত্রীর উপরে একাধিক বার হামলা করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। এসময়ে দখলকারীরা জোরপূর্বক তার স্ত্রীর শ্লীলতাহানী ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কেশবপুর থানায় অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের ঈমাননগর গ্রামের মৃত নওশের আলীর পুত্র হোসেন আলী (৫০) ১৯৯৭ সালে ঈমাননগর মৌজার এক শতক জমি ক্রয় করে এবং এর সাথে খাস খতিয়ানের ৩ শতক সহ মোট ৪ শতাংশ জমি নিয়ে বসত বাড়ি করে বসবাস করে আসছেন। প্রতিবেশী ঈমাননগর গ্রামের মোঃ জব্বার দফাদারের পুত্র আমিনুল ইসলাম (৪৫), হাফিজুর রহমান (৪২), আব্দুস সাত্তার (৪০), আব্দুল খালেক (৪৫), গড়ভাঙ্গা গ্রামের মৃত আকব্বর মোড়লের পুত্র হাকিম (৪০) ও আব্দুর রহিম (৩৫) দলবদ্ধ হয়ে হোসেন আলীর দখলীয় জমি তাদের দাবী করে তাদের উপর বিভিন্ন সময়ে জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন করতে থাকে। তারা গত ৪ অক্টোবর বিকালে তাদের বাড়ির উপরে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে জমি দখল ছেড়ে দিতে বলে এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেয়। গত ৯ অক্টোবর বিবাদীরা দলবদ্ধ হয়ে লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হোসেন আলীর বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে তাদের উপর হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে । এলাকাবাসী আহতদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হামলাকারীরা তার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটিয়ে মারধর ভয়ভীতি ও খুন জখমের হুমকি দেয়। তাদের ভয়ে আতংকিত হয়ে এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন তারা।
এবিষয়ে আমিনুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তাদের উপরে কোনো হামলা করিনি বরং তারা আমার ভাই মাষ্টার আব্দুস সাত্তারকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে।
এবিষয়ে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন এবিষয়ে একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।